ওয়েবডেস্ক- ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) আইনে (Law) পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বক্তব্য, এই আইনে মুসলিম সমাজের জন্য ভালো হবে। এদিকে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বক্তব্য, মুসলিম সমাজকে তাদের মতো ছেড়ে দেওয়া হোক, এই নিয়ে কাউকে কোনও মাথা ঘামাতে হবে না। কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরাও, প্রতিবাদে পথে নেমেছে মুসলিম সমাজ। এই পরিস্থিতিকে ওয়াকফ নিয়ে নয়াদিল্লিকে (Delhi) রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা (Central Agency)। যেখানে রয়েছে কলকাতার মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) নাম। আরও তিনটি নাম রয়েছে। একজন হলেন ফিরহাদ ঘনিষ্ঠ পুরসভার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শাম্মি জাহান বেগম।
কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ফিরহাদ হাকিম সহ মোট চারজন নেতা মন্ত্রীর নাম রয়েছে। আরও এক সাংসদ ও কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলারও, ও প্রয়াত এক বিধায়কের নামও আছে। ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য নাসিরুদ্দিন আহমেদের কথা রিপোর্টে আছে। তিনি নদিয়ার কালীগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন। প্রয়াত হয়েছেন। রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ নাদিমুল হকের নাম।
আরও পড়ুন-শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক
অভিযোগ, মহাবীর মসজিদ থেকে আলিপুর এলাকা পর্যন্ত জোহরা বিবি ওয়াকফ সম্পত্তির ৩৫ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা বেশির জবরদখল করেছেন ফিরহাদ হাকিম বলে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউন্সিলর শাম্মি জাহান বেগম হাজরা রোডে টিপু সুলতান গোরস্থানে জমি জবরদখল করে রেখেছেন বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেখানে ওয়াকফ সম্পত্তি, ব্যক্তিগত স্বার্থে জবরদখল ও অবৈধ পথে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনেক আগেই নয়াদিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল বলে আইবি (IB) দফতর সূত্রে খবর। এদিনে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, এই সমস্ত কিছুই চক্রান্ত।
দেখুন অন্য খবর-