কলকাতা: ভুয়ো আইপিএস (IPS) রাজর্ষি ভট্টাচার্যের ঘটনায় নয়া মোড়। তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর দেহরক্ষী অভিজিতের বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর গুলি। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আইডি কার্ড। যা দেখে রীতিমত তাজ্জব কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন: জলমগ্ন হাওড়া স্টেশন, শনিবারও বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন
গত ২৬ জুলাই ভুয়ো আইপিএস অফিসার রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি এনআইএর নাম ভাঁড়িয়ে তোলা চাইতেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে পার্ক স্ট্রিট থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করেন তাঁর দেহরক্ষীকেও।
আরও পড়ুন: করোনাসুর নিধন মানুষের হাতেই, বলছেন হু প্রধান
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে অভিজিৎ ওই ভুয়ো আইপিএসের দেহরক্ষীর চাকরি পান। সেই আনন্দে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়া দাওয়াও করান তিনি, বলে জানিয়েছে অভিজিতের প্রতিবেশীরা। তাঁদের অবশ্য দাবি, অভিজিৎ প্রতারণার শিকার।
আরও পড়ুন: পাক সীমান্তে ধৃত দুই অনুপ্রবেশকারী
হাওড়ার জগাছার ধাড়সায় রাজর্ষির বডিগার্ড অভিজিতের বাড়িতে রেড করে পুলিশ। উদ্ধার হয় গুলি সহ পুলিশের আই কার্ড। পুলিশের দাবি, কী কারণে বাড়িতে এত গুলি মজুত করা হয়েছিল, পুলিশের আই কার্ডই বা কী কারণে ব্যবহার করা হত, এর পেছনে কারা, কোনও পুলিশ কর্মী এই ঘটনায় জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার রণদীপ
ওই ভুয়ো অফিসারকে গ্রেফতারের পর জেরা করতেই উঠে আসে একের পর এক তথ্য। জানা যায় লকডাউনে ছবি কেনা বেচার কাজ করতেন রাজর্ষি। আইপিএসের ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই গাড়িতে নীল বাতির ব্যবহার, দেহরক্ষী, পুলিশি মহলে ওঠা বসা সব কিছুই করতেন তিনি। বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর প্রশাসনিক মহলের সঙ্গে। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। এরপর এদিন দেহরক্ষীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গুলি, আই কার্ড।