কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) সিআইডির হাতে গ্রেফতার হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal School Service Commission) পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন। মঙ্গলবার বাঁকুড়া থেকে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালত তাঁকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ, পদমর্যাদার প্রভাব খাটিয়ে সিরাজুদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে বেআইনিভাবে চাকরি দেন।
২০১৫ সালে এসএসসির পরীক্ষায় বসেন জেসমিন। সেই পরীক্ষার প্যানেল বাতিল করে এসএসসি। ২০১৯ সালে সেই বাতিল হওয়া প্যানেল থেকে ২০১৯ সালে জেসমিনকে বাঁকুড়ার একটি স্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষিকার চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক। মামলা হয় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্ট অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে। আদালত অবিলম্বে কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সিরাজুদ্দিনকে অপসারণের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে বলেও জানায়। কিছুদিন পর সিরাজুদ্দিনকে কমিশনের পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু জেসমিনকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব আদালত সিআইডিকে দিয়েছিল। অবশেষে সিআইডি মঙ্গলবার জেসমিনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: শিবু উত্তমদের বিরুদ্ধে ফের গণধর্ষণের মামলা পুলিশের
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৭)
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় ইডির বিশেষ অধিকর্তার রিপোর্ট তলব করল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutt High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, কবে থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করা সম্ভব, তা জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। আদালত বলে, অনির্দিষ্টকালের জন্। কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। এক বছর সাতমাস ধরে তিনি জেলে আছেন। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, ঠিক কথা। কিন্তু তা কতদিন ধরে চলবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই ইডি কর্তাকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
অন্য খবর দেখুন