কলকাতা: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলা থেকে তৃণমূলের তরফে ৪ প্রার্থীও রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জয়ী হয়েছেন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হলেন শমীক ভট্টাচার্য। তৃণমূলের চারজন সাংসদ হলেন, নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর, সুস্মিতা দেব ও সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)। তৃণমূলের তরফে এবার বড় চমক সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষকে এবার রাজ্যসভার টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। প্রথমবার রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়িয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। অন্যদিকে গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এদিন বিধানসভায় জয়ী সাংসদদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়৷ শংসাপত্র নেওয়ার পরই বাংলার বকেয়া বকেয়া আদায়ের দাবিতেই সরব হন সাংসদরা। রাজ্যসভায় তাঁরা আওয়াজ তুলবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জয়ী সাংসদরা।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৬)
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন সাগরিকা। তিনি বললেন, ‘ভারতবর্ষের গণতন্ত্র নষ্ট হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি পাপেট হয়ে কাজ করছেন রেখা শর্মা। একই সুর শোনা গেল সুস্মিতা দেবের (Susmita Dev) গলায়। সুস্মিতা দেবও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে বলেন, বিজেপি বারবার বাংলাকে টার্গেট করছে। তৃণমূল শক্তিশালি, ঘুরে দাঁড়াবে। রেখা শর্মা (Rekha Sharma) টুরিস্টের মতো পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। অথচ অশান্ত মণিপুর গিয়েছিলেন তিন মাস পরে। যে ভাবে বিজেপির নেতা একজন অফিসারকে খালিস্তানি বলছেন, তার থেকে পরিষ্কার তাঁরা মানুষে-মানুষে যে বিভাজন চাইছে। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, আমাকে রাজ্যসভায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত মতুয়া সমাজকে সন্মান দিয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন