ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রোদে ঝলমল করছিল আকাশ। তা দেখেই অনেকেই স্বস্তি পেয়েছিলেন। অনেকে বেড়িয়েও পড়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। রাত হতেই সেই ছবি বদলে গেল। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Rain) নামল কলকাতায়। পুজোর মুখে আবার কী দুর্গোগে ফিরতে চলেছে কলকাতায় (Kolkata)? কী বলছে হাওয়া অফিস?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (Depression) তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও হয়নি। কিন্তু হঠাৎ কেন বৃষ্টি হল? তা নিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই বৃষ্টি (Rain) নিম্নচাপের জন্য নয়। বরং মেঘে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প জমে ছিল। সেই কারণের বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়।
আরও খবর : ‘যদি আবার ফিরে আসতে পারি, দেখিয়ে দেব কী করতে পারি’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাত ৮টা থেকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ওড়িশা (Odisha) ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২৬ সেপ্টেম্বর সক্রিয় থাকবে নিম্নচাপ। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে মধ্যেই সেটি দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে শনিবার পঞ্চমীতে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ জুটে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
শনিবার ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি (Yellow Alert) করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায়। ২৮ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জারি হয়েছে লাল সতর্কতাও। হাওয়া অফিস (Alipur Weather Office) সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ নাগাদ মধ্য মায়ানমারের উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। সেই উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে ভারতের দিকে এগোতে থাকে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘূর্ণাবর্তটি প্রথমে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। তার পর সেটি পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে।
দেখুন অন্য খবর :