কলকাতা: বিকাশ ভবনে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশকে শোকজ (Protesting Teachers Show Cause) করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education)। সাতদিনের মধ্যে লিখিত জবাব তলব পর্ষদের। গত ১৫ মে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হল চিঠিতে। ওইদিন আন্দোলন চলাকালীন তাঁরা কী কী বেআইনি কাজে যুক্ত হয়েছিলেন, তারও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। শিক্ষকদের এই ধরণের আচরণের জন্য তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। গত শুক্রবার ১৬ মে থেকে এই চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এর কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই চিঠি শিক্ষকদের।
পর্ষদের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ওই দিনের ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো থেকে অনেককেই চিহ্নিত করা গিয়েছে, যাঁরা সে দিন বেআইনি কাজ করেছিলেন। আন্দোলনের জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিল বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। গেটভাঙা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, এবং কর্মচারীদের বেআইনি ভাবে আটকে রাখা কারণ জানাতে বলল পর্ষদ। যাঁরা বিকাশ ভবনে কোনও পরিষেবার জন্য এসেছিলেন, তাঁদেরও হেনস্থা করা হয়। সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে অবোত্য আচরণ , অস্রাব্য গালিগালাজ করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কেন এই ধরনের আচরণ করলেন? কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, শো কজের জবাবে তা জানাতে হবে। চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে চিহ্নিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে উত্তর চেয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: ‘কোনও জঙ্গি যেন শেল্টার নিতে না পারে’, পুলিশকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এক কলমের আঁচড়ে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। টানাপোড়েনের পর সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতনও পাবেন। তবে অশিক্ষক কর্মীরা আপাতত চাকরিহারা। আবারও নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এসএসসিকে। তবে আর পরীক্ষা দিতে নারাজ ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বিকাশ ভবনে টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
দেখুন ভিডিও