কলকাতা: দিন পাঁচেক আগেও তাঁকে নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। তাঁর নাম উঠেছিল ভবানীপুরের ভোটার তালিকায়। অবাঙালি এবং ভিন রাজ্যের বাসিন্দার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় জায়গা পাওয়া নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের দিন দেখা মিলল না সেই হেভিওয়েট ভোটারের।। আলোচিত ব্যক্তি হলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে ঐতিহাসিক সাফল্য পেলেও বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বড় জয়ের আশা জুগিয়েও থামতে হয়েছে অনেক আগে। তৃণমূলের সেই সাফল্যের পিছনে যার বড় ভূমিকা ছিল তিনি হলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে পিকের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। তাঁর পরামর্শেই একাধিক কর্মসূচি নেয় ঘাস ফুল শিবির। বড় বদল আনা হয় সংগঠনে।
সেই ব্যক্তির পরামর্শে একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল। হ্যাট্রিকের বছরে কাঁটা হয়েছিল নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরে ফের প্রার্থী হন মমতা। সেই উপনির্বাচনের আগে দেখা যায় ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। অর্থাৎ বাংলায় ভোটার করা হয়েছে ওই ভোট কুশলীকে। বাংলা এবং বাঙালিয়ানার কথা বলে ভোট চাওয়া তৃণমূলের বিহারী পরামর্শদাতা নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। তারপরে প্রশান্ত কিশোরের ভোটার তালিকায় জায়গা পাওয়া নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করে বিজেপি।
আরও পড়ুন- বিজেপি-কংগ্রেস কোনও নৌকাতেই থাকছি না, বললেন অমরিন্দর সিং
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ ছিল। নানাবিধ ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু কোথাও দেখা গেল না সেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে ভবানীপুরের ২২২ নম্বর পার্টের ভোটার তিনি। ক্রমিক সংখ্যা ৯৫০। সেন্ট হেলেন স্কুলের বুথে তাঁর ভোট দেওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার দিনভর দেখা যায়নি প্রশান্ত কিশোরকে।
আরও পড়ুন- মমতায় নজর সকলের, একাকী ভোট বৃদ্ধার
ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। তারপরেও তাঁকে দেখা গেল না বুথে। ভোট তাঁর পেশা হলেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকলেন পিকে? এই প্রশ্ন ঘুরছে নানা মহলে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই প্রশান্ত কিশোর। সেই কারণেই হাইভোল্টেজ ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনে তাঁর দেখা মেলেনি।