কলকাতা: বেহালা কাণ্ডের পর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও জোড়া খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ পায়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও অস্ত্রের খোঁজে ঘটনাস্থল লাগোয়া এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ দিন লালবাজারের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলের পাশের জলাশয়ে তল্লাশি চালান।
গোয়েন্দাদের অনুমান, আততায়ী খুনের সময় ব্যবহার করা ধারালো অস্ত্র, ফোন, চাবির গোছা পাশের জলাশয় বা জঙ্গলে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকাগুলি তন্নতন্ন করে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এলাকার ম্যাপও বানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: জোড়া খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে বেহালার অলিগলিতে তল্লাশি পুলিশের
বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার ওই ফ্ল্যাটের চারদিকে প্রচুর বন-জঙ্গল, জলাশয় ও মাঠ রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন ওই সব জায়গায় অস্ত্র ফেলে থাকতে পারেন আততায়ী। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলের ২-৩ কিলোমিটার এর মধ্যে থাকা সিসি টিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই ফ্ল্যাটেই পাওয়া যায় মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ
৭ সেপ্টেম্বর বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার সেন পল্লীর একটি ফ্ল্যাটে মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় অনেক অথ্যই পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ একজন নয়, একাধিক লোক খুনের ঘটনায় জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে, খুনের পর তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে যে সমস্ত উপায় আততায়ী অবলম্বন করেছিল, তা নেহাতই কাঁচা কাজ বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিক্রি করতে না পেরে শিশু সন্তানকে খুন করল বাবা
খুনের পর তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে যে সমস্ত উপায় আততায়ী অবলম্বন করেছিল, তা নেহাতই কাঁচা কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের পর আততায়ী সম্ভবত ফ্ল্যাটের বাথরুম ব্যবহার করেছিল। সম্ভবত স্নানও করেছিল সে। সেই তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
মৃতার স্বামী তপন মণ্ডল
এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে মৃতার স্বামী তপন মন্ডলকে। তাঁর আংটির মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। মৃত মা এবং ছেলের দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। মৃত মহিলার নখে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, সেই রিপোর্টের বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছুই জানায়নি।