কলকাতা: হরিশ মুখার্জি রোডে (Harish Mukherjee Road) জোড়া খুনের ঘটনায় একাধিক তথ্য সামনে আসছে। মৃত ওই গুজরাতি দম্পতির দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষত। হোমিসাইড এবং গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, গুলি করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয়েছে।
রাতে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, হোমিসাইড শাখা এবং স্থানীয় থানার পুলিস ঘটনাস্থল পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এরপরে দেহগুলির ময়নাতদন্ত হলে বোঝা যাবে আসলে ঘটনাটি কিভাবে হয়েছে। কোথায় কোথায় আঘাত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হচ্ছে কী কী জিনিস ঘর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে, ময়নাতদন্ত হবে বুধবার। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেলে তবেই বোঝা যাবে ঠিক কিভাবে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঠিক কী কী জিনিস খোয়া গিয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিস।
আরও পড়ুন- Bhawanipur Murder: ভবানীপুর খুনের তদন্তে পুলিসের স্নিফার ডগ অকুস্থলের সামনেই থামল, তারপর…
সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খুন হন এক গুজরাতি দম্পতি। যাঁদের দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষত চিহ্ন। খবর মিলতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিস। পৌঁছন কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী দল এবং অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভিভিআইপি এলাকা হওয়ার কারণে এলাকার নিরাপত্তার কারণে বহু জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ইতিমধ্যে সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, খাস কলকাতায় এই ধরণের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।