কলকাতা: মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের কার্নিশ থেকে রোগী পড়ার ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর৷ শনিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন৷ ওই ঘটনায় পুলিস কী রিপোর্ট দেবে তাও স্বাস্থ্য দফতর খতিয়ে দেখবে বলে সূত্রের খবর৷
এদিকে ৮ তলার কার্নিশ থেকে রোগীর ‘ঝাঁপ’ দেওয়ার কারণ নিয়ে ধন্দে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই যুবক বেশ কয়েকদিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দেন তিনি। সুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন। আজ, শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কেন তিনি এরকম কাজ করলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না হাসপাতালের আধিকারিকেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এদিন সকাল থেকে ওই যুবকের আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। আচমকা কার্নিশে চলে যাওয়ার ঘটনাকে ‘তাৎক্ষণিক পাগলামো’ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। কী কারণে তিনি এমনটা করলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা অবশ্য মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, জানলার কপাট সাধারণ মানুষের পক্ষে ভাঙা অসম্ভব। উনি কীভাবে জানলা দিয়ে কার্নিশে গেলেন সেটা দেখা হবে।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, ওই রোগীর সমস্ত চিকিৎসা বিমান আওতায় ছিল। অনেকেই খরচের সম্পর্কে নানা কথা বলছেন। ওই রোগীর বিমার টাকা অ্যাপ্রুভও হয়ে গিয়েছিল। কার্নিশে ওঠার পর পরই পুলিস ও দমকলে খবর দেওয়া হয়েছিল। মাত্র ১০-১৫ ফুট দূর থেকে পরিবারের দুই সদস্য এবং দমকলের আধিকারিকেরা দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কথাবার্তায় চলাকালীন কোনও অস্বাভাবিকতাও লক্ষ করা যায়নি যুবকের মধ্যে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দ্রুত কার্নিশ থেকে নামানোর চেষ্টা শুরু হলেও ফাইবারের নেটের ব্যবস্থা কেন আরও আগে করা যায়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তাও দেখা হবে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আপাতত ভেন্টিলেশনে রয়েছে তিনি। মাথায় ও বুকে গুরুতর চোট রয়েছে যুবকের।