সারদা মামলায় কুনাল ঘোষ, মদন মিত্র, রজত মজুমদার ও রমেশ গান্ধীসহ বহু প্রভাবশালী জামিন পেলেও, জামিন পাননি শুধুমাত্র দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত সেন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে, দেবযানীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা তিনটি মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়েছে। কুনাল ঘোষ, মদন মিত্র, রজত মজুমদার ও রমেশ গান্ধীসহ বহু প্রভাবশালী জামিন পেয়েছেন। শুধুমাত্র দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত সেন জামিন পাননি। দীর্ঘ আট বছর ধরে তাঁদের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
এরপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, নিম্ন আদালতে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিনা।
উত্তরে জয়ন্তবাবু বলেন, নিম্ন আদালতে এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সিবিআই এরই মধ্যে চার্জশিট পেশ করেছে। তাঁর প্রশ্ন, একই অভিযোগে অভিযুক্ত কুনাল ঘোষ ও মদন মিত্র জামিন পেয়ে থাকলে দেবযানী মুখোপাধ্যায় কেন জামিন পাবেন না? এছাড়াও যে কোম্পানীগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেব্যাপারে প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারা যদি উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে দেরী করে, তারজন্য অভিযুক্ত কেন দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে থাকবে?
এই মামলায় দোষীদের শাস্তির বিধান সম্পর্কে জানতে চায় আদালত। তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার সময়কাল সম্পর্কেও আগ্রহ প্রকাশ করে বেঞ্চ।
এর উত্তরে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, অভিযুক্ত ২০১৪ সালের ৬ জুন থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন। কতদিনের শাস্তির বিধান রয়েছে সেটা বড় কথা নয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, মামলায় সাজার সময়সীমার থেকে বেশী দিন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে থাকলে, বিচার প্রক্রিয়া না হলে অভিযুক্ত কেন জামিন পাবেন না? যে কোন শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করা হোক বলেও সওয়াল করেন জয়ন্তবাবু।
আদালত জানায়, ‘বিষয়টি শুনলাম ওদের কথা মাথায় রেখেই আদালত বিচার করবে।’
সোমবার দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত মামলার রায় দানের সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পেনড্রাইভ উদ্ধারের কথা বলে সিবিআই। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সিবিআই আর কোন নতুন তথ্য আদালতের সামনে হাজির করতে পারেনি।