দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৪ বছর ধরে তিনি ভুয়ো আইএএস কার্ড, নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকী প্রাক্তন বিএসএফ সিকিওরিটি নিয়ে ঘুরতেন তিনি। শুধু কসবাতেই নয়, আরও অনেক জায়গাতেই দেবাঞ্জন এই ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প করেছিলেন। এমনকী চলতি মাসে নিজেকে কেএমসি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে, স্বাস্থ্যভবনে পর পর দু’টো চিঠিও লেখেন দেবাঞ্জন। সেই চিঠিতে দেবাঞ্জন দাবি করেন, নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য টিকার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে সেই চিঠি পৌঁছে গেছে। জেরার মুখে দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, বাবা চাইতেন তিনি আইএএস হোন। তাই বেশ কিছু সরকারি পরীক্ষাও দেন দেবাঞ্জন।
কসবার ওই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কোভিশিল্ডের নাম করে অন্য কোনও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। এর মধ্যে আরও কেউ জড়িয়ে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কসবা থানার পুলিশ। দেবাঞ্জনের দাবি, তিনি ওই টিকাগুলো বাগরি মার্কেট থেকে কিনেছেন। এর সত্যতা খতিয়ে দেখতেও বাগরিতে লালবাজারের ডিডি টিম তদন্ত করছে।
দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে এ দিন জানান কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।