কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হতেই একের পর এক ব্যক্তির নাম উঠে আসছে। ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের সংস্থার তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুশান্ত দাস ও রবীন শিকদার কলকাতা পুরসভার ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সই করতেন। শান্তনু মান্না বিভিন্ন ক্যাম্প আয়োজন করতেন।
আরও পড়ুন: ‘আমলা’ দেবাঞ্জনের নাম লেখা ফলক ভাঙল পুরসভা
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মহিলার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ডিফোর্সী ওই মহিলার সঙ্গে দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে খবর। এবার লালবাজারের আতসকাচে দেবাঞ্জনের মহিলা সঙ্গী। সূত্রের খবর, সুস্মিতাদেবী কয়েক মাস আগে দেবাঞ্জনের সংস্থায় ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে কাজ শুরু করেন৷ সংস্থার বহু নথিতে তাঁর সই পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা ছেলের চিকিৎসার জন্য দেবাঞ্জনের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি ওই টাকা শোধ দিয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে সুস্মিতাদেবী বলেন, আমি শুধু ওই অফিসে চাকরি করতাম। ১৫ লক্ষ টাকা নিইনি। তবে ৩৬ হাজার টাকা বেতন দিয়েছিল। তালতলা এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেবাঞ্জনের সঙ্গে আলাপ হয়। পুরসভায় চাকরি দেবে বলেছিল। আমি আবেদন করি। স্পিড পোস্টে অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার আসে। তারপর কাজে যোগ দিয়েছিলাম। কসবার ক্যাম্প থেকে তিনি, তাঁর মা ও ভাই টিকা নিয়েছিলেন বলে জানান সুস্মিতাদেবী।
দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি প্রাইফেট ফার্মের ১৭২ জনকে ‘ভ্যাকসিন’ দিয়েছিল দেবাঞ্জনের সংস্থা। ওই ফার্মের থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার নথি দেখিয়ে স্টেডিয়াম তৈরির নাম করে একজন কনট্রাক্টরের ৯০ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবান্নের প্যাড জাল করে বিএসএফ রক্ষী নিয়োগ দেবাঞ্জনের
এছাড়া টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি ফার্মা কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে ডেপুটি কমিশনার এবং গোয়েন্দা বিভাগের তরফ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তদন্তের প্রেক্ষিতে একাধিক জায়গায় তল্লাশিও চালাচ্ছেন সিটের সদস্যরা।