কলকাতা: দার্জিলিঙে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার কথা আরও একবার জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)৷ তবে পুরো বিষয়টায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ কারণ, রাজ্যের অন্যত্র ত্রিস্তর পঞ্চায়েত আর দার্জিলিঙে দ্বিস্তর৷ গোটা রাজ্যের মতো দার্জিলিঙে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত চায় সরকার৷ সমস্যাটা এখানেই৷ সংবিধান সংশোধন করে দার্জিলিঙে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের৷ এটা করতে গেলে কেন্দ্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ আর এখানেই সমস্যা৷
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত অর্থাৎ পঞ্চায়েত, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ৷ দ্বিস্তর পঞ্চায়েত, যেখানে জেলা পরিষদের ভূমিকা নেই৷ যদি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত হয় সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদ এবং জিটিএ-র ভূমিকা কী হবে সমস্যাটা এখানেই৷ বুধবার পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে উড়ে যান মমতা৷ তার আগে বিমানবন্দে দার্জিলিঙের পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে মুখ খোলেন৷ জানিয়ে দেন, প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়েছে৷ রাজ্য সরকার দ্রুত চাইছে সেখানে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য৷ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এই ভোট করাতে চায় রাজ্য৷ আর এটা করতে গেলে সবার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার৷ কারণ, দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে৷ করতে হবে সংবিধান সংশোধনী৷ কেন্দ্র এখানে সদিচ্ছার অভাব দেখাচ্ছে৷
পাহাড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত গঠিত হলে জেলা পরিষদ ও জিটিএ-র মধ্যে সম্পর্ক কী দাঁড়াবে সেই নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে৷ পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ অনেক কাজ করেছে৷ জেলা পরিষদ হলেও কাজ করবে৷ সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদ ও জিটিএ একই দলের হাতে থাকলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷ কিন্তু দুটো ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাতে থাকলে সমস্যার আশঙ্কা থাকছে৷ থাকছে বিরোধের শঙ্কা৷ আর এই নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে আলোচনা চলছে৷ অবশেষে কিছুটা সমাধান সূত্র মিলেছে৷ কিন্তু গত দু’বছর করোনার কারণে সব নির্বাচন থমকে ছিল৷ অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে৷ পুরভোট হয়েছে৷ তৃণমূল বিপুল সাফল্য পেয়েছে৷ এবার তাই তাদের পরবর্তী লক্ষ্য পাহাড়ের পঞ্চায়েত সমস্যার সমাধান৷ এদিন বারাণসী উড়ে যাওয়ার আগে সেই বার্তাই দিয়ে গেলেন মমতা৷
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Varanasi: বারাণসীর ঘাটে ঘাট মুড়ল দিদি দিদি স্বরে