কলকাতা: ৪২ দিন পর অবশেষে জেলমুক্ত আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। শনিবার সকালে নওশাদ সহ ২১ জন আইএসএফ (ISF) নেতা–কর্মী–সমর্থককে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ছাড়া হয়। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) আইএসএফ বিধায়ককে জামিনে মুক্তি দেয়। কিন্তু কাগজপত্র তৈরি না হওয়ায় আরও দু’রাত জেলেই থাকতে হয় নওশাদকে। অবশেষে শনিবার সকালে মুক্তি পান বিধায়ক।
এদিন জেল থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নওশাদ। তিনি বলেন, “কেউ যদি ভাবে আটকে রাখায় ভয় পেয়ে গিয়েছি, তা ভুল হবে। মানুষ জবাব দিতে শুরু করেছে। দুর্নীতি, অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।” তিনি আরও বলেন, “৪১ দিনে আমি এমন কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করছি, যা আগে কখনওই হয়নি। জেল, পুলিশ, লালবাজারের একাধিক দফতর থেকে শুরু করে বারুইপুর জেল, প্রেসিডেন্সি জেল, বারুইপুর কোর্ট, ব্যাঙ্কশাল কোর্ট, হাইকোর্টে ঘুরে ঘুরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, বিধানসভার মধ্যে তা আমি মানুষের স্বার্থে তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিধানসভার বাইরেও আওয়াজ তুলব।” পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া আইনজীবী কৌস্তব বাগচীর পাশেও দাঁড়ান নওশাদ। তিনি বলেন, “কৌস্তভের পাশে আছি। লড়াই চলবে”
আরও পড়ুন:Anubrata Mondal: হাইকোর্টে মিলল না রক্ষাকবচ, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে আর কোনও বাধা নেই ইডির
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। গ্রেফতার হন নওশাদ সহ ২১ জন আইএসএফ নেতা, কর্মী–সমর্থক। নিম্ন আদালতে দুটি আলাদা থানার মামলায় নওশাদদের জামিন মেলেনি। অবশেষে ৪০ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট আইএসএফ বিধায়ককে জামিনে মুক্তি দেয়। তবে জামিন পাওয়ার পরেও শুক্রবার দিনভর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই থাকতে হয় নওশাদকে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের দাবি, জেল লক-আপ বন্ধ হওয়ার আগে রিলিজ অর্ডার-সহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নওশাদকে জেলেই কাটাতে হয়। শনিবার সকালে মুক্তি পান বিধায়ক।