কলকাতা: ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’-এর স্রষ্টা, নবতিপর কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। গত ২৩ দিন ধরে মিন্টো পার্ক লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টা। শনিবার রাত থেকে অসুস্থতা আরও বাড়ায়, ডাক্তাররা আর ঝুঁকি নেননি। প্রবীণ কার্টুনিস্টকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন ৯৭ বছর বয়সি নারায়ণ দেবনাথ। এর আগেও একাধিক বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। গত বছর জানুয়ারিতেও নারায়ণ দেবনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু এ বারের সমস্যা ডাক্তারদের চোখে আরও গুরুতর বলে মনে হয়েছে। কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। ফুসফুসেও জল জমছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সমরজিৎ নস্করের তত্ত্বাবধানে চিকিত্সা চলছে প্রবীণ কার্টুনিস্টের। চিকিত্সায় যাতে ত্রুটি না থাকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টার জন্য বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিমও গড়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে বাইপ্যাপ সাপোর্টেই ছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। কিন্তু শরীরে অক্সিজেন মাত্রা ক্রমশ কমতে থাকায়, মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: কার্টুন তোমার দিন গিয়াছে
পরিবার সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রবীণ কার্টুনিস্ট। বর্ষীয়ান শিল্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত তাঁর চিকিত্সার খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শাল ও মিষ্টিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিন কয়েক আগে হাসপাতালের বেডেই তাঁর হাতে কেন্দ্রের তরফে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা।
নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্টি ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র জনপ্রিয়তা ছোটদের কাছে এখনও সমান জনপ্রিয়। বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টাকে ২০১৩ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ২০২১ সালে পান পদ্মশ্রী।