ওয়েবডেস্ক: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। আগের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিপুর (Jangipur) মহকুমার সুতি (Suti), ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জের মতো এলাকায় রবিবার রাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (ADG Law and Order javed shamim) বলেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মুর্শিদাবাদ। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অতি সক্রিয় পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রুটমার্চ চলছে। শেষ ৩৬ ঘণ্টায় কোনও অশান্তির খবর নেই। এখনও পর্যন্ত হিংসাত্মক ঘটনায় ২০০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গুজবের দাপট এখনও আছে, অনেকে ভিনদেশ থেকেও কিছু না বুঝে সোশ্যাল মাধমে পোস্ট করছে, তাই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘর ছাড়ারাও ধীরে ধীরে ঘরে ফিরছে।
একটা প্ররোচনা থেকে এই কাণ্ড ঘটেছে সেটিকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেও সংশয় প্রকাশ করেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই সকলকে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন আজ বাস্তবে, সন্ধ্যা ৭ টায় উদ্বোধন হবে কালীঘাট স্কাইওয়াক
উল্লেখ্য, ওয়াকফ বিল ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতি, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ সহ গোটা মুর্শিদাবাদ। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, তিনজনের মৃত্যু সহ বহু মানুষ আহত হয়। এর পরেই হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে জারি রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। রবিবার দিনভর মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। রাজ্যবাসীকে গুজনে কান না দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি, সেইসঙ্গে সতর্ক থাকার কথাও বলেন।
এই মুহূর্তে জঙ্গিপুর মহকুমায় ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সীমান্তে নজরদারিতে রয়েছে বিএসএফ। সামশেরগঞ্জের দু’টি, ধুলিয়ান ও সুতি এলাকার একটি করে, মোট চারটি এলাকাকে অতি স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে বাড়তি নজরদারি।
দেখুন অন্য খবর-