কলকাতা : এবার একটা কড়া দেখে মুচমুচে দেখে দাও তো। টকটা আর ঝালটা একটু বেশি দিও। জল দিও না। শেষে একটা ফাউ দেবে তো না কি? বোঝাই যাচ্ছে কীসের কথা বলছি, আর কাকে বলছি। বিষয়টা এবার খুলে বলা যাক একটু। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ফুচকা কাকুর সঙ্গেই কথা হচ্ছিল।
ফুচকাওয়ালা
জায়গাটা বকুলবাগান মোড় আর প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের ঠিক মাঝামাঝি। কৃষ্ণাজি সেই ফুচকাওয়ালা। যাঁর সঙ্গে এই কথা চলছিল। বিহারের বাসিন্দা কেদার শহকে এ পাড়ায় একডাকে সকলে কৃ্ষ্ণাজি নামে চেনে। প্রায় ৩০ বছর ফুচকা বিক্রি করছেন এই পাড়ায়। টক জল দিয়ে ফুচকা, দই ফুচকা, চুরমুর, মিষ্টি ফুচকা প্রায় সব রকমই ফুচকা বানান। বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে পাড়ায় এলেই দেখা পাওয়া যায় তাঁর।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ কলকাতা পুরসভার
রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু কখনও কি এটা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছেন ? ব্যাপারটা কি স্বপ্নের মতো লাগছে ? একেবারেই বাস্তব। সবার প্রিয় যে দিদি, আর সেই দিদির প্রিয় মানুষ কে ? উত্তর একটাই কৃষ্ণাজি। মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি নিয়ে যেতেই প্রশ্ন করেন সবসময় ‘কৃষ্ণাজি ভালো তো ‘?
টকজল ফুচকা
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে কাটল বাধা, দুর্গাপুজোর অনুমতি পেল শুভেন্দুর ক্লাব
রাজনৈতিক পালাবদলের অনেক আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকে ফুচকা খান। তখনও তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হননি। একেবারে আর পাঁচজনের মতোই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খান। কোনও আলাদা বা স্পেশ্যাল ফুচকা নয়। আলু, মশলা, ছোলা, মটর দিয়ে টকজল দিয়ে ফুচকা। দিদি যে ঝাল খেতে পছন্দ করেন না, সেটা কৃষ্ণাজি ভালোই জানেন। তাই ঝাল ছাড়াই বানান দিদির জন্য। মজার বিষয়, দিদি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় রাজভবনে প্রবেশের পাস পেয়েছিলেন কৃষ্ণাজি। দিদিই যে আগামিদিনে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সে বিষয়েও তিনি আশাবাদী।