কলকাতা: ওয়াকফ আইন প্রত্যাহার নিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তৃর্ণ এলাকায়। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পর কেন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)যাননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। সোমবার মুর্শিদাবাদে যাওয়ার আগে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এতদিন তিনি সেখানে যাননি তাও জানিয়ে দিয়ে গেলেন। মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তিনি হেলিকপ্টারে সেখানে যাচ্ছেন না বলে জানালেন। এদিন মমতা বলেন, আমি আগেই মুর্শিদাবাদে যেতে পারতাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই যাওয়া উচিত। এখানে শান্তি ফিরে এসেছে। রবিবার রাতে বহরমপুরে গুলি চলেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জেলায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে যাচ্ছেন না বলে জানালেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেই চাইলে মুর্শিদাবাদে যেতে পারতাম। কিন্তু শান্তি ফেরার পরই যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না পর্যন্ত শান্তি পুনরায় ফিরেছে ততক্ষণ না যাওয়াই ভাল বলে মনে করি। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক শান্ত-স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাঝে দিঘার জগন্নাথ ধামের অনুষ্ঠান থাকায় জেলা সফর সম্ভব হয়নি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য এখন হেলিকপ্টারে যাওয়া উচিত নয়। কখনও বৃষ্টি আসে। কখনও টর্নেডো চলে আসে। এই জন্য অনেক আগে থেকেই জেলা সফরের পরিকল্পনা করতে হয়।”
আরও পড়ুন: আজ মুখ্যমন্ত্রীর সফর, প্রহর গুনছেন মুর্শিদাবাদবাসী
অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতির মতো এলাকায়। অশান্তিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার ধুলিয়ান যাব। জানি ওরা সবাইকে দু’টো পরিবারকে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমরাও ওদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। কিন্তু কেউ যদি না নেয় আমার হাতে নেই। কিন্তু যে বা যাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে আসবেন তাঁদের সঙ্গে বিডিও অফিসে আমি দেখা করব। তাঁদের কথা শুনব। বাংলার বাড়ি করব। দোকানও তৈরি করব। ধুলিয়ান থেকে সুতি আসব। এখানে সরকারি প্রকল্পের একাধিক কাজ রয়েছে। এরপর বহরমপুর হয়ে কলকাতা ফিরব।
রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদ লাগুর সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপালের ৩৫৬ সুপারিশ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। তিনি এও বলেন, “রাজ্যপালের শরীর ঠিক নেই।
অন্য খবর দেখুন