কলকাতা: তিনি দলের সুপ্রিমো তো বটেই৷ এবার সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনও হলেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বসম্মতিক্রমে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করেছেন দলের সাংসদরা৷ যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে৷
আরও পড়ুন: বিজেপির হাতে থাকা আরও একটি পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল৷ অধিকাংশ তৃণমূল সাংসদ সেখানে হাজির ছিলেন৷ ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন করা হবে৷ সব সাংসদ এতে সম্মতি জানিয়েছেন৷ যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তাঁরাও সম্মতি দিয়েছেন৷ এতদিন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাংসদ না হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জায়গায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার থেকে জনবিরোধী নানা ইস্যুতে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের সাংসদদের ভূমিকা কী হবে তা তিনিই ঠিক করে দেবেন৷
https://twitter.com/jago_bangla/status/1418534189662543872
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন৷ কেন দল তাঁকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হিসাবে নিযুক্ত করল? তৃণমূলের ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বারের সাংসদ৷ চারবারের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী৷ দু’বার তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন৷ পরপর তিনবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন৷ জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা৷ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ওড়িশা একাধিক রাজ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে৷ সবাই তাঁকে পছন্দ করেন৷ তিনি যদি চেয়ারপার্সন হন তাহলে তাঁর অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে তৃণমূলের সংসদীয় দল আরও ভালো ভাবে চলতে পারবে৷ সেই কারণে সংসদীয় দলের প্রত্যেকে মমতাকে চেয়ারপার্সন হিসাবে মনোনীত করেছেন৷
আগামী সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগে তাঁকে দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বাংলার নির্বাচনে জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর এখন দিল্লি৷ গণতন্ত্রকে বাঁচাতে দিল্লির মসনদ থেকে মোদি-শাহকে সরানোর ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ২১ জুলাইয়ের শহীদ স্মরণ সমাবেশ থেকে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হওয়ার বার্তা দেন তিনি৷
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু
তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলের৷ সূত্রের খবর, দিল্লি গিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি৷ তবে দিল্লি সফরের আগে সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হওয়ায় সংসদে অবাধ প্রবেশের ‘টিকিট’ পেয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী৷