কলকাতা : বাংলার যে সব পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিলেন অথচ যুদ্ধের কারণে ফিরে এসেছেন তাঁদের জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে সরকার। অনুরোধ করা হবে বাকি মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মতোই ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ দেওয়া হোক তাঁদের । জরুরি ভিত্তিতে এই অনুমতি আদায়ের চেষ্টা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি, সে সময় তাঁদের স্কলারশিপও দেওয়া হবে ।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য মেডিক্যাল কমিশনকে চিঠি লেখা হবে । কমিশন অনুমতি দিলে তাঁদের ইন্টার্ন করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি কলেজে যাতে টাকা পয়সা বেশি না লাগে তার সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। সরকারি কলেজের খরচায পড়ার সুযোগ করে দেবে সরকার। ফি মকুবের জন্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে স্কলারশিপ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ফেরত এসেছেন বহু পড়ুয়া। বাংলার পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তা দেখবে রাজ্য সরকার । ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন এই পড়ুয়াদের পুনরায় পড়তে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যদি আপত্তি করে আমি পড়ুয়াদের নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করব।” তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “তোমাদের কোনও বছর নষ্ট হবে না । মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বে না।”
এ দিন ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা জানান, ইউক্রেনে মেডিক্যাল কোর্সে ১০টি সেমেস্টার হয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বেশির ভাগ সেমেস্টার শেষ করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তাঁদের পক্ষে রাজ্যের বেসরকারি কলেজগুলিতে পড়াও সম্ভব নয়। কারণ, তাঁরা ইতিমধ্যেই অনেক টাকা খরচা করে ফেলেছেন।
সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেন। বলেন, “অনেক পড়ুয়া রয়েছেন যাঁরা সেই দেশে ইন্টার্নশিপ করতেন। অথবা চতুর্থ এবং পঞ্চম বর্ষে পড়তেন তাঁদের সকলকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতি মাসে স্টাইপেন্ডও দেওয়া হবে।” অন্য দিকে, যাঁরা একেবারেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া তাঁদের ফের রাজ্যের কলেজগুলিতে পড়াশুনা শুরু করার পরামর্শও দেন। তাঁদের খরচের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কথা বলেন।