কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের পদত্যাগ দাবি করে এই কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রুমানা সুলতানাকে মুসলিম বলে সম্বোধন করেন মহুয়া দাস। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিক্ষোভকারীরা এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই সংসদ সভাপতির পদত্যাগ দাবি করেন। চাপের মুখে পড়ে বিবৃতি দেন মহুয়া দেবী। বেগম রোকেয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
আরও পড়ুন: শনিবার আইসিএসই ও আইএসসির ফল প্রকাশ
শুক্রবার সকালে সল্টলেকের উচ্চশিক্ষা ভবনে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের প্রতিনিধিরা হাজির হন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ‘ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্র ছাত্রীর পরিচয় নয়, শিক্ষার গুণগত মানই ছাত্র ছাত্রীর পরিচয়’। তাঁদের ক্ষোভ, ছাত্র/ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় রেজাল্টের মাপকাঠি হতে পারে না। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরিয়েছে। রুমানা সুলতানা নাম না করেই সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম কন্যা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট, গ্রেফতার ‘বিজেপি’ কর্মী
এই নিয়ে সরগরম রাজ্য। বিশিষ্ট থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এইভাবে কোনও জাতির নাম নিয়ে ফল ঘোষণা করা যায় না। এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস দফতরে আসেন। তখন তাঁর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার কথা ভেবে বলেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন। আমাদের অলঙ্কার মহিলা। ওর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম।’ প্রসঙ্গত বেগম রোকেয়া বাঙালি মুসলমান নারী সমাজের পথিকৃৎ। বাঙালি সমাজ যখন কুসংস্কারে আছন্ন ছিল তিনি সেই সময় মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো এনেছিলেন। বাংলা, আরবি, উর্দু ও ফারসি চার রকমের ভাষা জানা বেগম রোকেয়া বেশ কিছু রচনা করে গেছেন বাংলা ভাষায়।
আরও পড়ুন: ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের পচা গলা মৃতদেহ
এ দিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় আন্দোলনকারীদের।