কলকাতা: ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলা (Maheshtala Chaos)। দোকান বসানো নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে মহেশতলায় (Maheshtala Chaos)। একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি থেকে গাড়ি ভাঙচুর, বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। রবীন্দ্রনগর থানার (Rabindranagar Police Station) সামনেই পুলিশের গাড়িতে হামলা। উন্মত্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়ে । তাতে জখম বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় ব়্যাফ।
বুধবার সকালে আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা বাঁধে পরে তা হাতাহাতির পৌঁচ্ছায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি তারপরে চরমে পৌঁছায়। দফায় দফায় উত্তেজনা। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর, পাথরবৃষ্টি। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোঁড়া হয়। রাস্তার উপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাইক। থানার সামনে বাইকে আগুন। উন্মত্ত জনতার ছোঁড়া পাথরে আক্রান্ত পুলিশ। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ। ইটের আঘাতে মহিলা কনস্টেবলের মাথা ফাটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশ। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুলিশ বলছে, ‘মরণবাঁচন অবস্থা। প্রচুর লোক। লড়াই করে পারছি না।’ এলাকা ফাঁকা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ঘণ্টাখানেক ধরে চলছে এই উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করল সিবিআই
পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় ব়্যাফ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আসছে অতিরিক্ত ফোর্স। উন্মত্ত জনতার একাংশ পাথর ছোড়া থামায়নি। পুলিশ এবং র্যাফকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে দুষ্কৃতীরা। কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়। লাঠিচার্জও করা হয়। তবে তা সত্ত্বেও এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটালেও কোনও অবস্থাতেই দুষ্কৃতীরা পাথর ছড়া থামাচ্ছে না। ছাদের উপর থেকেও চলছে ইট, পাথর ছোড়া। পুলিশের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময়েই পাথর ছুড়ে আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। এক মহিলা পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
অন্য খবর দেখুন