কলকাতা: দীর্ঘ দশ ঘণ্টা পর মহেশতলার কেমিক্যাল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে৷ রাত ন’টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা৷ তারপরেও কয়েকটি পকেটে আগুন ছিল৷ তা ধাপে ধাপে নেভাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: স্পাইওয়ারে ফোনে আড়ি, গণতন্ত্রের বড় বিপদ: পূর্ণেন্দু বসু
সকাল এগারোটায় লাগা আগুনের উৎসস্থল রাত সাতটাতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এ কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় দুটি জেসিবি মেশিন দিয়ে কারখানার দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ে৷ তারপরই আগুনের উৎসস্থল পাওয়া যায়৷ সময় নষ্ট না করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে, গোটা কারখানা ভস্মীভূত হয়ে গেছে৷ যা গভীর রাত পর্যন্ত কুলিং মেশিন দিয়ে শীতল করার কাজ চলে৷ দমকল সূত্রে খবর, বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে কুড়িটি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়৷ একই সঙ্গে জল ও ফোম ব্যবহার আগুন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে৷
আরও পড়ুন: মহেশতলার কারখানায় আগুন নেভাতে ফোম, আনা হচ্ছে রোবট
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ওই কারখানার পাশে একটি তেলের কারখানা ছাড়াও ছোট বড় অনেক কারখানা রয়েছে। সকাল ১১ টা নাগাদ ওই রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে। প্রাথমিক স্তরে রাসায়নিকের ড্রাম ফেটে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফোম, রোবট, জেসিবি আনা হয়। ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, ডিজি ফায়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রমুখ৷
আরও পড়ুন: ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে ৪০ টি ইঞ্জিন