কলকাতা হাইকোর্টে বিক্ষোভ অব্যাহত। শনিবারও আইনজীবীদের বিক্ষোভে বন্ধ রইল মামলার শুনানি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আইনজীবী মহল।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, রাজ্য থেকে উঠল লকডাউন
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টে প্রশাসনিক নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, ১৭ এপ্রিল, ১৫ মে ও ১৯ জুন- এই তিনটি শনিবার খোলা থাকবে কলকাতা হাইকোর্ট। শর্ত মোতাবেক শনিবার সকাল থেকেই বিচারপতিরা এজলাসে হাজির হন।
এ দিকে, এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বেশকিছু আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা দাবি করেন, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও শনিবার আদালত খোলা থাকবে না। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এ দিন এক প্রতিনিধিদল বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে বিচারপতিদের এজলাসে মামলা না শোনার আবেদন জানান।
আরও পড়ুন: পরপর দুদিন অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা
আইনজীবীদের আরও দাবি, লক্ষ লক্ষ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। হাইকোর্টে সেই তুলনায় বিচারপতির সংখ্যা কম। অবিলম্বে বিচারপতি নিয়োগ না-হলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে সাধারণ মামলাকারীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে।
এ দিন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের মামলা এখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচার হচ্ছে। নতুন কোনও মামলার বিচার হচ্ছে না। মামলাগুলি লিস্টেও নথিভুক্ত হচ্ছে না। অন্যদিকে, বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দিনের পর দিন বিশেষ মামলা শোনা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হচ্ছে না। তাঁরা আরও দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।