কলকাতা: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একের পর এক নিয়ম অমান্য করে কাজ করে চলেছেন। এই অভিযোগে তাঁর এজলাসে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইনজীবীরা। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ আইনজীবীরা। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক ঋজু ঘোষাল জানান, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য হাইকোর্টে ভার্চুয়াল মামলার প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে শোকজ করে একটি নোটিশ ইস্যু করেন। অভিযোগ, সেই নোটিশের কোনও উত্তর না দিয়েই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলাটি সরিয়ে নিয়ে যান ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী দত্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে হাইকোর্টের প্রশাসন। সিঙ্গল বেঞ্চের মামলা ডিভিশন বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ায় অ্যাপিলেড সাইডের রুল ভাঙার অভিযোগ ওঠে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাস বয়কট আইনজীবীদের
মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক ঋজু ঘোষালের ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না। আইনজীবী সপ্তাংশু বসু এবং আইনজীবী আনসারী মণ্ডল সহ আইনজীবীদের এই সিদ্ধান্তের কথা এজলাসে উপস্থিত হয়ে জানিয়ে দেন। পাল্টা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজয় চৌবে মঙ্গলবার বিকেলে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, সহকারী সম্পাদক ঋজু ঘোষালের ডাকা এই বৈঠক অবৈধ। সম্পাদক ও সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ সম্পাদক কোনও বৈঠক ডাকলে তা রুল ২২ এর বিরোধী। তাই সহ সমপাদক ঋজু ঘোষালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচাপতির এজলাসে মামলাগুলিতে আগের মতোই অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক ঋজু ঘোষাল জানিয়েছেন, বৈঠক ডাকার জন্য নিয়ম মাফিক সভাপতি এবং সম্পাদককে জানিয়ে চিঠি দেয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোন উত্তর না পেয়ে তিনি এই বৈঠক ডেকেছেন। তিনি কোনও নিয়ম বিরোধী কাজ করেননি। হাইকোর্টের এমন অনেক আইনজীবি রয়েছেন যারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। যে কারণে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই আইনজীবীদের দুই গোষ্ঠী বাদানুবাদে জড়িয়ে পরেন।