কলকাতা: রীতিমতো পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি মহম্মদ নইম। বেশ কয়েকবার কলকাতার বিভিন্ন জেল থেকে পালিয়েছে সে। বনগাঁ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে নইম। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার ছুটির দিনে কলকাতা হাইকোর্টের ফাঁকা ২৮ নম্বর এজলাসে হাজির করানো হয় নইমকে। ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। দিল্লি পুলিস ঘিরে রেখেছিল এজলাস। সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিসও।
এদিন নইম নিজেই নিজের হয়ে সওয়াল করে ইংরেজিতে। নইমের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভুল প্রমাণ করতে চায় সে। নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেও দাবি করে নইম। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে তার আবেদন, সে বাঁচতে চায়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মে। এর আগেও আদালতে নইম কোনও আইনজীবী না নিয়ে সওয়াল করেছিল। এদিন আদালত জানায়, এক জুনিয়র আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে সে পরবর্তী শুনানির দিন সওয়াল করতে পারবে।
আরও পড়ুন: Akshaya Tritiya: অক্ষয় তৃতীয়ায় ভিড় তারাপীঠ, মেদিনীপুরের বর্গভীমা মন্দিরেও
২০০৭ সালে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে অস্ত্র সমেত ধরা পড়ে নইম-সহ মোট চারজন। তদন্তে জানা যায়, চারজনই লস্কর-ই-তইবার সদস্য। তার মধ্যে নইম পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা যুবক। তারপর থেকে সংশোধনাগারেই ছিল ওই চারজন। বিচার চলাকলীনই বেশ কয়েকবার সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যায় নইম।
আদালত সূত্রের খবর, পরবর্তীকালে নইম-সহ চারজনের বিরুদ্ধেই মুম্বই বিস্ফোরণ এবং দিল্লির জামা মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে এনআইএ। তারা চারজনকেই নিজেদের হেফাজতে নেয়। সকলেরই বর্তমান ঠিকানা দিল্লির তিহার সংশোধনাগার। মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল নইম। সেই সূত্রেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। তিহার সংশোধনাগার থেকে কড়া পুলিস পাহারায় নইমকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করানো হয়।
আরও পড়ুন: Murshidabad Murder: ছাত্রী খুনে আতঙ্ক বহরমপুরে, মেস ছাড়ছেন অনেক পড়ুয়া
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, আপাতত কলকাতারই কোনও সংশোধনাগারে রাখতে হবে নইমকে। রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং কারা বিভাগের ডিজি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন। নইম যে আবেদন করেছে, তাতে কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এর জন্য এক আইনজীবীকে নইমকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।