কলকাতা: কসবার ল কলেজের (Kasba Law College) মধ্যেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা তথা ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী। ইতিমধ্যেই সেই মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন অভিযুক্ত ছাত্রের ছাত্রত্বও বাতিল করা হয়েছে।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের গভর্নিং বডি বা পরিচালন সমিতির বৈঠকের বড়সড় সিদ্ধান্ত- বহিষ্কার করা হলো মনোজিৎ মিশ্র এবং তার সঙ্গে থাকা দুই কলেজ পড়ুয়াকে। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব জিবি মিটিংয়ের পর জানালেন, ‘তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার চাইলে আমরা সবরকম সাহায্য করব। কলেজে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
কসবা কাণ্ডে (Kasba Incident) দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসি দাবি কলেজে তরফ থেকে জানানো হবে। এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক হয়েছে মনোজিতের রাজনৈতিক যোগ ও তাঁর উত্থান ঘিরে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অস্থায়ী কর্মী ও প্রাক্তন ছাত্র মনোজিৎকে কলেজে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্বয়ং অশোক দেবই। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, রাজনৈতিক ছত্রছায়াতেই কলেজ চত্বরে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন মনোজিৎ।এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক দেব। উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিক একটি ইমেল পাঠিয়েছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে। চিঠিতে মূলত সাত দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ইমেলের পরই মঙ্গলবার কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে বসেছিল। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস নয়, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
জানা গিয়েছে বৈঠকে সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে, নির্যাতিতার চিকিৎসার খরচ বহন করবে কলেজ। সিসিটিভি র প্রয়োজনীয়তা বুঝে টেন্ডার দেখে সিসিটিভি বসানো হবে কলেজে । বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে কলেজে। কলেজ টাইমের বাইরে কলেজ চত্বরে থাকা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে কলেজে পঠন পাঠন আপাতত বন্ধ তবে অফিস খোলা থাকবে। খোলা থাকবে শুধু অফিস। নতুন বেসরকারি এজেন্সির নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে, যাতে থাকবেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীও। এমনটা জানিয়ে গেলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব এবং কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়।
দেখুন ভিডিও