নয়াদিল্লি: কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় পুলিস বাহিনী (central Force) চেয়ে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গেল বিজেপি (BJP Moves Supreme Court)। অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে পদ্মফুল শিবির। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি যাতে জরুরি শুনানির তালিকায় রাখা হয়, সেই আর্জিও পেশ করেছে বঙ্গ বিজেপি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন সিনিয়র আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী। প্রধান বিচারপতি সেই আর্জি গ্রহণ করেছেন।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম আদালতে দায়ের করা পিটিশনে সই রয়েছে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগে বলা হয়, বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মনোনীত প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। শাসকদলের এ ধরনের হুমকির মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় বলেই পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিটিশনে ৫ জন প্রার্থীর নামোল্লেখও রয়েছে। দাবি, টিএমসির গুন্ডা বাহিনী তাঁদের হুমকি দিয়েছে। কলকাতা পুলিশে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়েরের কথাও তাঁরা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ করে পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুরভোটে প্রয়োজন নেই ভিভিপ্যাটের, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
কলকাতায় পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যভবনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুরভোটের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কী সিদ্ধান্ত, ৪ নভেম্বরের মধ্যে তা জানাতে বলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, কলকাতা পুলিসেই আস্থা দেখায়। কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়, কলকাতা পুরভোটের নিরাপত্তায় থাকবে ৩০ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিস। কোনও ভোটকেন্দ্রে সিভিক পুলিস যে থাকবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বিজেপি যে খুশি হবে না, তা জানাই ছিল। বঙ্গ বিজেপির তরফে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। সেইমতোই সুপ্রিম দ্বারে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।