কলকাতা: পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষিকা৷ নেশা গান গাওয়া৷ ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির আঙ্গিনায় বেড়ে ওঠা৷ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পঞ্চায়েত সদস্যরা মায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং-এ যাওয়ার আবেদন করেছিল৷ সে দিনের সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীটি আজ কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মৌসুমি দাস৷ ৯৩ ওয়ার্ডের আগের পুর-প্রতিনিধি ছিলেন মেয়র পারিষদ সদস্য রতন দে৷
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পরই এলাকার নবনির্বাচিত বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রচারের রণকৌশল ঠিক করে দিয়েছেন৷ প্রায় প্রতিটি প্রচারে সঙ্গে থেকে নবাগতা মৌসুমিকে উৎসাহ দিচ্ছেন রতন দে৷ বিগত পুরবোর্ডের কাজের পাশাপাশি তৃণমূলের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলোর জনপ্রিয়তা আরও বেশি করে জয়ের রাস্তাকে চওড়া করছে বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমি দাসের৷
দলের শক্ত ভিতের উপর জয়ের ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত যে এখন থেকেই জনসংযোগের পাশাপাশি তৈরি করে ফেলেছেন মানুষের অভাব-অভিযোগের তালিকা৷ এলাকার যে সব মানুষ এখনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে উঠতে পারেননি তাদের তালিকা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজনীয়দের তালিকা, পাশাপাশি বার্ধ্যক্যভাতা, বিধবা ভাতার মতো বিষয়গুলি মৌসুমীর তালিকায় অগ্রাধিকার পেয়েছে৷
প্রার্থীর দাবি, ‘সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আরও ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষার প্রসার, রাস্তা, আলো, দূষণ মুক্ত পরিবেশ তৈরিও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ অন্য দিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মৌসুমির জয় কেবলই সময়ের অপেক্ষা৷ মৌসুমীর কথায়, “জনপ্রতিনিধি হিসাবে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ফোন থেকে বাড়ির দরজা৷ দলমত নির্বিশেষে সকলকেই স্বাগত জানাবো৷’