কলকাতা: কসবাকাণ্ডে (Kasba College Incident) পুলিশের নজরে ল কলেজের (South Calcutta Law College) কলেজের দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী। ২৫ জুন সন্ধ্যায় কসবায় ল কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন নিরাপত্তা রক্ষী। তাদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাউথ ক্যালাটা ল কলেজে সেই সন্ধ্যায় দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ। তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃত পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষীও চুক্তিভিত্তিক কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কলেজের একমাত্র স্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী হলেন বরুণ মহালি। তিনি ২৫ জুন অনুপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কসবাকাণ্ডে ৪ অভিযুক্ত ছাড়াও পঞ্চম মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত। পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও, মর্নিং শিফটে থাকা আরও এক নিরাপত্তারক্ষীরও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই নিরাপত্তারক্ষী রাত ৮.২৫ মিনিট নাগাদ ল’ কলেজ ছেড়ে বেরোন, খবর সূত্রের। রিপোর্টে বলছে, কলেজের সেই দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষীকে লালবাজারে তলব করে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কী কেউ জড়িত? তদন্তে পুলিশ। কসবাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের বয়ান রেকর্ড।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত শুরু CBI-এর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর
শুক্রবার, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মনোজিৎ মিশ্র সহ ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে ল’ কলেজে পুনর্নির্মাণ করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওইদিন ভোর ৪টে নাগাদ চার অভিযুক্তকে নিয়ে কলেজে যান তদন্তকারীরা। কলেজের বিভিন্ন অংশে চলে পুনর্নির্মাণ। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম থেকে শৌচালয়, সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় ৪ অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী পর পর ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন কলেজে। এদিকে জামিনের আবেদন করে আদালতে ধৃত নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘আমি পরিস্থিতির স্বীকার। আমি মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকা মাইনে পাই। আমি কিছু কিছু সীমা পার করতে পারি না। লিখিত অভিযোগে আমার নামে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। আমি একজন কলেজের কর্মীকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করতে পারতাম না।
অন্য খবর দেখুন