কলকাতা: কলকাতা পৌঁছল কর্নাটকে গ্যাস লিকে মৃত পাঁচ জন শ্রমিকের দেহ। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে পাঁচজনের মৃতদেহ এসে পৌঁছয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
মাস দুয়েক আগে দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ জন কাজে যায় কর্ণাটকে। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন কাজ করতেন ম্যাঙ্গালোরের একটি মাছ প্রোসেসিং ফ্যাক্টরিতে। কর্ণাটকের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মাছের বর্জ্য রাখার ট্যাঙ্কে নামেন সাইমুল্লা নামে এক শ্রমিক। ২০ ফুট গভীর ওই ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই বিষাক্ত গ্যাসে কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সাইমুল্লা। বাকিরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তাঁরাও ওই বিষাক্ত গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। মৃত ওই পাঁচ শ্রমিকের নাম উমর ফারুক, সাইমুল্লা ইসলাম, নিজামুদ্দিন সাজ, মিরাজুল ইসলাম এবং শরাফত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন মিরাজুল্লা ইসলাম, আজান আলি, কারিবুল্লা এবং আফতাল মল্লিক।
আরও পড়ুন: Deucha Pachami: চাকরি মিলবে কবে, জেলাশাসকের কাছে দরবার দেউচা পাঁচামির ইচ্ছুক জমিদাতাদের
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকেরা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা।