ওয়েবডেস্ক- এসএসসির (SSC) বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের (Justice Saugata Bhattacharjee) রায়কে চ্যালেঞ্জ। চিহ্ণিত অযোগ্যদের পরীক্ষায় না বসার ব্যবস্থা করে ফের বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) আবেদন পর্ষদ ও রাজ্যের। মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি সোমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন,‘চিহ্নিত অযোগ্য’ চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। কেউ আবেদন করে থাকলে তার আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে।
সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ের পরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছিল। তার মধ্যে অন্যতম যদি ইতিমধ্যেই ‘অযোগ্য’-রা আবেদন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে কীভাবে তাদের বাদ দেওয়া সম্ভব?
যদি রাজ্য বা এসএসসি ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করে, সেক্ষেত্রে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে?
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষাকর্মীরা, দেখুন কী অবস্থা
নিয়োগে দুর্নীতিতে ২০১৬ সালে এসএসসি-র গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করে তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ৩১ মে-র মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
গত ৩০ মে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। সেখানে প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। আর নতুন সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সিঙ্গেল বেঞ্চ অযোগ্যদের পরীক্ষায় না দেওয়ার নির্দেশ ছাড়া বাকি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। মামলাকারীদের দাবি ছিল, এসএসসির দেওয়া ৪৪ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি আইনসম্মত নয়। ২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে বাছাই প্রক্রিয়া ওই সালের নিয়ম অনুয়ায়ী করার কথা বলা হলেও ওই নিয়ম অনুযায়ী করা হচ্ছে না।
বিজ্ঞপিতে বয়সের ছাড়ও মানা হয়নি। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। শুনানির সময় রাজ্য আদালতে যুক্তি দেয়, ‘অযোগ্য’ দের চাকরি গেছে, বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এই শাস্তির পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না, এটা আরও একটা বড় শাস্তি। এই পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি ও রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল একই অপরাধের জন্য কাউকে দুবার শাস্তি দেওয়া যায় না।
দেখুন আরও খবর-