কলকাতা : রাজ্যপাল ডেকেছিলেন । সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে আলোচনা করলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস (Sourav Das) । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক তাঁদের মধ্যে কথা হয় । রাজ্যপালকে বিস্তারিত ভাবে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান কমিশনার । পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ইত্যাদি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) সৌরভ দাস রাজভবনে (Raj Bhavan) এসে রিপোর্ট জমা দেব । অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Free and Fair Election) করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর ।
গতকালই হাই কোর্টে হলফনামায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট দু’দফায় ভোট করানো সম্ভব । প্রথম দফায় ২২ জানুয়ারি বিধানগর, চন্দননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও হাওড়ার ভোট হবে । দ্বিতীয় দফায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৬টি পুরসভার ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে । রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত । ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে বিষয়গুলি মাথায় রেখেছে, হলফনামায় তার উল্লেখও রয়েছে । সামনের বছরের মার্চ এবং এপ্রিলে রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা । তাই ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে সে বিষয়টি মাথায় রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দু-দফায় ভোট করাতে ইভিএমের কোনও ঘাটতি হবে না বলেও হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।
রাজ্যের পুরভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব ক’টি পুরভোট একসঙ্গে করতে নারাজ হওয়ায়, ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল । রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়, তা-ও বোঝানোর চেষ্টা করেন জগদীপ ধনখড় । কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করানো নিয়েও সৌরভ দাসের সঙ্গে মতানৈক্য হয় রাজ্যপালের । জগদীপ ধনখড়ের কথা না-শুনেই কলকাতা পুলিস দিয়ে পুরভোট করানোর সিদ্ধান্তে অবিচল থাকেন সৌরভ দাস । বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালেও শেষ পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট । তবে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি রাখার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ।
কলকাতার পুরভোটের পর এবার রাজ্যের বাকি পুরবোর্ডগুলিতে নির্বাচন । এখন দেখার ফের কোন পথে এগোতে থাকে রাজ্যপাল-রাজ্য-নির্বাচন কমিশনের সম্পর্ক ।