কলকাতা: ফের মুখ্যমন্ত্রীকে পত্রাঘাত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar)। রামপুরহাটের হত্যাকাণ্ড (Rampurhat political violence)-সহ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Bannerjee) রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। এক সপ্তাহের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলে ভালো হয়। এমনটাই চিঠিতে লিখেছেন ধনখড়।
রাজ্যপালের অভিযোগ, এমনিতেই রাজ্যের প্রশাসন এখন খাদের কিনারায় ঝুলছে। তার উপর রামপুরহাটে যে ভয়াবহ এবং বর্বর কাণ্ড ঘটেছে, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। বিধানসভাতেও উত্তাপের আঁচ দেখা গিয়েছে।
চিঠিতে রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, সিবিআই (Rampurhat political violence) তদন্ত নিয়ে আপনার প্রকাশ্য বিবৃতিতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনি বলেছেন, সিবিআই তদন্ত যদি ঠিক মতো না হয়, তা হলে তার প্রতিবাদে আপনি পথে নামবেন। এই বক্তব্য আপনার পদের সঙ্গে খাপ খায় না। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে এবং তত্ত্বাবধানে রামপুরহাটের ওই হিংসাত্মক ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
সোমবার সকালে রাজ্যপাল দিল্লিতে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন অমিত শাহকে। ওই দিনই রামপুরহাট ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বচসা, ধাক্কাধাক্কি এমনকি মারামারিও হয়। উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1508771505798144003?s=20&t=j-FqnJjr0b-oL3wdAlnjFw
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal Calcutta HC: হাইকোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন না অনুব্রত
বিধানসভার ওই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় রাজভবনে ফেরেন রাজ্যপাল। সন্ধ্যাতেই শুভেন্দু কয়েকজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান। বিধানসভার গোটা ঘটনা তিনি রাজ্যপালকে জানান। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের রাজভবনে ডেকে পাঠানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
গত সোমবার, ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটে খুন হন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পর পর ১০টি বাড়িতে আগুন লাগায় দুষ্কৃতীরা। পরের দিন পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ি থেকেই সাতটি দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলা মারা যান সোমবার। বীরভূমের ওই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীও পালটা জবাব দিয়ে চিঠি পাঠান ধনখড়কে।