কলকাতা: র্যাগিং ঠেকাতে ইউজিসি-র ২০১৯ সালের শর্ত যাদবপুর মেনেছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। সেই নিয়েই ইউজিসি সচিব মনীশ জোশীকে ৩৫ টি ফাইল পাঠিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অ্যান্টি ৱ্যাগিং সংক্রান্ত পোস্টার সেই সঙ্গে কোনও সমস্যায় পড়লে কথা বলার জন্য দেওয়ার হয়েছিল নম্বর। সেইসঙ্গে অ্যান্টি ৱ্যাগিং সহ যাবতীয় সার্কুলার বা নির্দেশিকার তালিকা দেওয়া হয়েছে ইউজিসিকে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ২০১৯ সালের এক নির্দেশিকা ফের জারি করেন। যেখানে ক্যাম্পাসে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢোকা, সঙ্গে নেশা নিষিদ্ধকরণের মতো চারটি বিধি বলবৎ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই নির্দেশিকায় সিসিটিভি নিয়ে কোনও কথা না বলা হলেও স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট-সহ নানান জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পড়ুয়ারা মানবেন ওই নির্দেশিকা? সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজি ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ সরকারের
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি শুক্রবার মেস কমিটির বেশ কয়েকজনকে তলব করে। ওই রাতে ঘটনার সময় যারা ছিল তাদের মধ্যে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের কয়েকজনকেও ডাকা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে ঘটনার সময় ওই ঘরে ১৫ জনের বেশি আবাসিক উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে প্রায় ১০ জনই প্রাক্তনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে ঘটনা ঘটার ৩০ মিনিট আগেও ওই পড়ুয়াকে সৌরভ এর সঙ্গে ৬৫ নম্বর রুমে দেখা গিয়েছিল। তখনও ওই পড়ুয়া পোশাক পড়া ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে ওই পড়ুয়া ছুটে গিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার সময় বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে গেছে। সৈকত সিটকে জিজ্ঞাসা করেছে কমিটি। সৈকত জানিয়েছে সে সময় হস্টেলে যায়নি বাইরে তার মেসে ছিল। সেই অরিত্র ও গৌরবকে ফোন করে। ত হস্টেলের ঘরের ওই পড়ুয়াকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে কমিটি। পাশাপাশি প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন তাদেরও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে হস্টেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা সকলেই নিজেদের বাঁচানোর জন্য একে অন্যের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলছেন। কিন্তু কে সঠিক কথা বলছেন? তা যাচাই করতেই ধৃত ৯ জনকে মুখোমুখী বসিয়ে জেরা হবে।
যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার যাদবপুরের ৩ নং গেটের উলটোদিকে মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভে বসে ছিল বিজেপি যুব মোর্চা (BJYM)। কিন্তু সেখানে অবস্থানের অনুমতি মেলেনি পুলিশের। বিজেপির যুব মোর্চার প্রতিবাদ মঞ্চে তুমুল উত্তেজনা। বিজেপির যুব মোর্চার দাবি, ক্যাম্পাসকে ব়্যাগিং মুক্ত করতে হবে, মাদক বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ, পুলিশ সেই মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে এবং সেখান থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন যুব মোর্চার সদস্যরা।