কলকাতা: রাজ্যের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন ও দুটি আসনে নির্বাচন কবে? তা এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন৷ ঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে বারবার কমিশনের ‘দুয়ারে’ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল৷ যা নিয়ে কটাক্ষ উড়ে আসছে বিজেপি শিবির থেকে৷ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রোজই কমিশনে যান চা খেতে৷ তাতে কী যায় আসে৷’ পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল৷ জানিয়েছে, হেরে যাবে বলে ভোট চায় না বিজেপি৷
যে সাতটি আসনে ভোট হওয়ার কথা তার মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া বলে পরিচিত ভবানীপুর কেন্দ্রটি৷ জোর জল্পনা চলছে, এই কেন্দ্র থেকেই লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যিনি একুশের ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন৷ তা সত্ত্বেও গত ৫ মে তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃণমূল নেত্রী৷ যেহেতু মমতা ভোটে হেরে গিয়েছেন সেহেতু মুখ্যমন্ত্রী পদে টিকে থাকতে গেলে ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে বিধানসভার সদস্য হতেই হবে৷ নইলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে৷
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান কমাতে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র
রাজনৈতিক মহলের ধারনা, সম্ভবত এটাই চাইছে বিজেপি৷ একদিনের জন্য হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা৷ তাই বারবার উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরছে গেরুয়া শিবির৷ গত জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিরথ সিং রাওয়াত৷ কেননা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকেও কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হত৷ কিন্তু নির্বাচন সম্ভব নয় দেখে আগে ভাগেই ইস্তফা দিয়ে দেন৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরাখণ্ডে ‘দৃষ্টান্ত’ তৈরি করে মমতাকে চাপে ফেলার বিজেপির এটা রাজনৈতিক চাল৷ সেই জন্য রাজ্যে উপনির্বাচন ৪ নভেম্বরের পর করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা৷ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে রাজ্যের করোনা বিধি৷ বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষই বলেন, রাজ্যে করোনা বিধি চালু৷ স্কুল-কলেজ বন্ধ৷ লোকাল ট্রেনও চলছে না৷ দু’বছর ধরে পুরভোট স্থগিত৷ তাহলে উপনির্বাচনে এত তাড়া কীসের? তাহলে সব চালু করে দিক৷
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের শুরুতে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
অপরদিকে পুজোর আগে ভোট করতে হবে এই দাবিতে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস৷ গত দু’মাসে তিনবার নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে তারা৷ একটাই বক্তব্য, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ এখনই ভোট করার মত ইতিবাচক পরিস্থিতি রয়েছে৷ কিন্তু ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করছে না নির্বাচন কমিশন৷ ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, হেরে যাবে বলে ভোট চাইছে না বিজেপি৷