কলকাতা : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের ঘটনায় ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে ডাকা হয়েছে সুবীর চাকির পরিবারকে। পাশাপাশি ডাকা হয়েছে তাঁর অফিসের সহকর্মীদেরও।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। স্নিফার ডগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি থ্রি ডি মডেলিংয়ের জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা পুরসভার ৯০ নম্বর ওয়ার্ড। গড়িয়াহাট থানা এলাকার ৭৮এ কাঁকুলিয়া রোড। সেখানেই জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে রবিবার। নিহতদের নাম সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল। সুবীর ছিলেন এক বেসরকারি শিল্পসংস্থার কর্তা। রবীন ছিলেন তাঁরই গাড়ির চালক। বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুবীর চাকির দেহ। তিন তলার ঘরে পাওয়া যায় চালকের দেহ। দুজনের শরীরেই একাধিক আঘাতের চিহ্ন পান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন : তদন্তে নেমে বালিগঞ্জ স্টেশনে স্নিফার ডগ, ট্রেন পথেই কি পালাল আততায়ীরা?
ট্রেনে করে আততায়ীরা পালিয়েছে কি না, তা দেখতেই স্নিফার ডগ নিয়ে নামে তদন্তকারীরা। খুনের ঘটনার পর আততায়ীরা কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে গা ঢাকা দিল? বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে কতজন ছিল। একজন আততায়ীর কাজ নাকি একাধিকজনের উপস্থিতি সেখানে ছিল। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে ডাকা হয়েছে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির পরিবারকে। পাশাপাশি ডাকা হয়েছে তাঁর অফিসের সহকর্মীদেরও।