কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের (Assembly Polls 2022) ফলাফল যাই হোক না কেন, বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের কাজ থমকে থাকবে না৷ শুক্রবার এমনই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ তাঁর কথায়, বিরোধী শক্তি হিসাবে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে৷ তাই সব আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ সেরকম হলে অন্য কেউ সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করুক৷ তৃণমূল নেত্রী হিসেবে যা সাপোর্ট দেওয়ার তিনি দিয়ে যাবেন৷
একক শক্তিকে বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করা সম্ভব নয়৷ এটা বুঝতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে দুটো কাজের উপর খুব মনোনিবেশ করেছেন৷ এক, ভিন রাজ্যে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি৷ দুই, বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একজোট৷ এই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, মহারাষ্ট্রের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং তামিলনাড়ুর ডিএমকে ইত্যাদি৷ কিন্তু এই সবক’টি দলেরই নিজের রাজ্য ছাড়া ভিনরাজ্যে পায়ের তলার মাটি নড়বড়ে৷ তাই মমতা চাইছেন আরও বেশি সংখ্যায় বিজেপি বিরোধী শক্তিকে জোটের আওতায় নিয়ে আসার৷ তিনি কংগ্রেসকেও জোটে নিতে আগ্রহী ছিলেন৷ কিন্তু গত দেড়-দু’বছরে শতাব্দী প্রাচীন দলের অবক্ষয়, আন্দোলন বিমুখতা, দিশাহীন রাজনীতি এবং নেতৃত্বের সংকট বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ তাই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়৷ যে কারণে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান৷ তবে এখন তিনি চান, অন্য দলগুলিও বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিক৷ লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করুক৷
উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই দিয়েছেন, এই জয় ২০২৪-এর লাইন তৈরি করে দিয়েছে৷ কিন্তু তৃণমূল মনে করে, বিজেপির জয় পাওয়া রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশই একমাত্র উল্লেখযোগ্য৷ বাকি তিনটি অত্যন্ত ছোট রাজ্য৷ পঞ্জাবে আপের কাছে উড়ে গিয়েছে বিজেপি৷ তাই এই ফলকে ২০২৪ সালের আগাম সাফল্য হিসেবে দেখা অর্থহীন৷ আগামী দু’বছর রাজনীতিতে অনেক কিছু বদলাবে৷
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: অখিলেশকে জোর করে হারানো হয়েছে: মমতা