কলকাতা: দিঘা থেকে ফিরেই বড়বাজারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত হোটেল (Mamata Visits Burrabazar Hotel) পরিদর্শনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose ), কলকাতার পুলিশ কমিশমার মনোজ ভার্মা। বৃহস্পতিবার বড়বাজারে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রীতিমতো রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যে হোটেলে আগুন লাগের তার আশপাশের বেশ কিছু বাড়ির অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগুন ধরে যাওয়া হোটেলটি ‘সিল’ করে দেওয়া হবে। মানুষের জীবন আগে। আমি এখানে ভোট চাইতে আসিনি। মানুষের জীবন যাতে নিরাপদে থাকে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলছি। বিপদজ্জনক বাড়িগুলোর মেরামতির করা দরকার। প্রয়োজন হলে বাড়ির মালিকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। বাসিন্দাদের প্রয়োজনে সরিয়ে মেরামতির কাজ করা হবে।
ওই বিল্ডিংয়ের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় এমন ঘটনা ঘটে গেছে। বাজেনি ফায়ার অ্যালার্মও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে ভোট না-দিতে চাইলে না-দিন কিন্তু নিজেদের জীবন বাঁচাতে শিখুন!’
আরও পড়ুন: মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডে বিরাট মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
আগুনের লেলিহান শিখায় যাতে কেউ প্রাণ না হারান সেটাই প্রথম নজরে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যেই হোটেলে আগুন লাগে তার পাশেই রয়েছে একটি ভগ্ন বাড়ি সেই বাড়িও বিপদজন্নক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বার বার বলা হচ্ছে এই ভগ্ন বাড়িগুলো থেকে বেরোনোর জন্য। এগুলো এখনই সংস্কার না করলে তো ভেঙে পড়বে। তখন আপনারাই বলবেন, সরকার কী করছিল? কেন এদের সরানো হল না? কিন্তু কেউ যদি না সরে আমরা কি ধাক্কা দেয় বের করব?”
দেখুন অন্য খবর