কলকাতা : রাতভর গঙ্গার ঘাটে চলেছে প্রতিমা নিরঞ্জন। বেশিরভাগ প্রতিমারই বিসর্জন হয়েছে।তাই আজ সকাল থেকেই ঘাট পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মীরা। চলে প্রতিমার কাঠামো, ফুল, অন্যান্য সামগ্রী সরানোর কাজ। পুরসভার উচ্চপদস্থ অফিসারদের নজরদারিতে চলছে ঘাটে ঘাটে কাঠামো পরিষ্কারের কাজ। গঙ্গা থেকে প্রতিমা তুলে পাড়ে রাখা হচ্ছে। তারপর সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র।
এবছরের মতো পুজো শেষ। গঙ্গা দূষণ ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। ভাসানের পরই ঘাট পরিষ্কারে নজরদারি। একের পর এক প্রতিমা নিরঞ্জনের পরই কুলিদের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয় ঘাট পরিষ্কারের কাজ। গঙ্গা থেকে কাঠামো তুলে দেওয়া হয় পুরসভার লরিতে। ঘাট পরিষ্কারে কাজ করে বেশ কয়েকটি ক্রেন ও জেসিবি। আজও গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা চলবে। তবে সংখ্যায় তা কম হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যান্য বছর প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পরও কাঠামো গঙ্গাবক্ষে পড়ে থাকে। এবার আর সেটি হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কোভিড বিধি মেনে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর আয়োজকরা কয়েকজন ছাড়া বেশি লোক যাতে ঘাটে ঢুকতে না পারেন তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রেখেছে কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন : সিঁদুর খেললেন পাওলি,নীলাঞ্জনা, মানালি
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত গঙ্গার ঘাট গুলিতে বিসর্জনকে ঘিরে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত গঙ্গার ঘাট গুলিতে ২৭০০ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। শুধুমাত্র বাজেকদমতলা ঘাটে ৪৭৮ টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে একইরকম ভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিমার রং থেকে যাতে গঙ্গার জল কোনও ভাবেই দূষিত হতে না পারে সেই কারণে বিশেষ নজর কলকাতা পুরসভার। প্রতিমা বিসর্জনের পর এই কাঠামো গঙ্গার জল থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ করছে পুরসভার কর্মীরা। পুজোর আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে প্রতিমা বিসর্জন।