হাওড়া: তৃণমূলের (TMC) তোলাবাজির জেরে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক হকারের (Hawker)। হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গোপাল শোনকারকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হকারদের অভিযোগের ভিত্তিতে অরবিন্দ দাস ওরফে টাবলুর খোঁজে নেমেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
কয়েকদিন আগেই তোলাবাজির জেরে বন্ধ হয়েছিল হাওড়া স্টেশন চত্বরের সুলভ শৌচালয়। এরপরও তোলাবাজি বন্ধ হয়নি হাওড়া স্টেশন চত্বরে, বরং দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। সাবওয়েতে হকারদের থেকে জোর করে টাকা তোলার অভিযোগ। টাকা না দিলে তাকে তুলে অন্য হকার বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতা অরবিন্দ দাসের ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে। টাকা না দেওয়ায় গোপাল শোনকারকে বসতে না দেওয়ায় নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছিল। এরপরেই গোপাল আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অভিযুক্ত অরবিন্দ দাসের দাবি, এই বিষয় তিনি কিছু জানেই না। তিনি ব্যস্ত তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে। এদিকে উত্তর হাওড়াতে তোলাবাজি নিয়ে সরগরম রাজনীতি।
আরও পড়ুন: HC | School Fee | যেমন খুশি ফি নয়, বেসরকারি স্কুলকে কড়া বার্তা আদালতের
এই প্রথম নয় এর আগেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে ছিল। হাওড়ার স্টেশন চত্বরে দীর্ঘ দিন ধরে হকারির সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। সারা দিনের এই সামান্য উপার্জন থেকে তাদের বাড়িতে হাড়ি চড়ে। হকারদজের দাবি, এখানে বসতে হলে ১০০ টাকা করে রোজ দিতে হবে। না হলে নাকি বসতেই দেবে না! বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বিক্রিও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। তার মধ্যে যে টুকু আয় হয় তোলাবাজির জেরে সেটাও চলে যায়। হাওড়া সাবওয়ে ও হাওড়া স্টেশনের দিকে নামার সিঁড়ি দিকে যেতেই কেএমডির জমনির উপর তৈরি হয়েছে শাসকদলের কার্যালয়। হকারদের দাবি, এই অফিসঘরটা হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তোলাবাজি বেড়ে গিয়েছে। কয়েক জন তৃণমূল নেতার মদতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তোলাবাজেরা।