কলকাতা: কলকাতার মুকুটে নয়া পালক, জুড়েছে। দেশে এই প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো (India’s First Underwater Metro in Kolkata) ছুটছে। ইতিমধ্যেই যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছে। লাভের মুখ দেখেছে ইস্ট-ওয়েস্ট গ্রিন লাইন মেট্রো (East West kolkata Metro)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৭ দিনে, হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাত্রী হয়েছে ৩,১৪,৪৫৯। জনস্রোতের বহর দেখে অনায়াসেই বলে দেওয়া যায় যে আগামীদিনে এই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে।
এই মেট্রো পরিষেবা দুই হাওড়া স্টেশন আর তাদের মাঝখানে মাটির নীচে স্বপ্নের বাস্তবায়ন। শহরবাসীর নিত্যযাত্রীদের কাছে নদীর নিচে দিয়ে মেট্রো সফরের রোমাঞ্চ হয়ে উঠেছে। অফিসের ব্যস্ত সময় যাতায়াতকে সহজ করে তুলেছে। শুধু অফিস যাত্রীদের জন্য ভুল হবে। এই সফর অনেকে চেটেপুটে উপভোগ করছেন। পিছিয়ে নেই ভিনরাজ্যের আগন্তুকরাও!
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৫)
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে গত ১৫ই মার্চ। যে কেউ পূর্ব রেলওয়ে ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া স্টেশন-এ নেমে পৌছে যেতে পারেন ভূগর্ভস্থ নতুন হাওড়া মেট্রো স্টেশনে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিআরএম অফিস-এর ঠিক পিছনে তৈরি হয়েছে মেট্রো রেলওয়ের এই ভূগর্ভস্থ স্টেশন। তীব্র দাবদাহ বা ভ্যাপসা গরমের প্যাচপ্যাচানি উপেক্ষা করে নির্ঝঞ্জাটে অতি দ্রুত ও পকেটের রেস্ত বাঁচিয়ে যদি কেউ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় পৌঁছাতে চান তবে তাঁদের জন্য সহজ এই হাওড়া মেট্রো স্টেশন। মাটির নিচের প্ল্যাটফর্মে নামার জন্য এখানে রয়েছে একাধিক এস্কালেটর ও লিফট। শহরতলির যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া স্টেশনে ইতিমধ্যে লেগে গিয়েছে মেট্রো স্টেশনের দিক-নির্দেশক নীল বোর্ড।বোর্ডের তীর চিহ্ন অনুসরণ করে শহরে ঘুরতে আসা আনকোরা যাত্রীরাও খুব সহজ করেছে। এই লাইনের স্টেশনগুলিও বিমানবন্দর থেকে তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। সব মিলিয়ে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা, যে অন্য কোনও শহর করে দেখাতে পারেনি সেটা সিটি অফ জয় কলকাতা করে দেখিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন