কলকাতা: ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে ২০১৯ সালে তোলপাড় হয়েছিল সারা রাজ্য। মুরগী, খাসির বদলে ভাগাড়ের মরা কুকুর, পাখির মাংস দেওয়া হচ্ছে বিরিয়ানিতে। বেশ কিছু জায়গা থেকে উদ্ধার হয় পচা মাংস, মাছ। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় সারা রাজ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এরকম লোক মেলেনি। তাই অভিযুক্ত হোটেল মালিকের সাজা মকুবের নির্দেশ দেয় আদালত।
কলকাতার পাশাপাশি বনগাঁর বিভিন্ন এলাকায় পচা মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে খবর ছড়ায়। অভিযানে নামে বনগাঁ পুরসভা। শহরের দুই নামি রেস্টুরেন্ট ওয়াইফাই (wifi) এবং মাকালী হোটেল থেকে পচা মাংস ও মাছ উদ্ধার করা হয়। মামলা দায়ের হয় বনগাঁ আদালতে। সেই মামলায় অভিযুক্ত স্বরূপ সেনকে ৫ বছর জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় বনগাঁ আদালত।
আরও পড়ুন: ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গেলেও ইডির চার্জশিটে নাম নেই শুভেন্দুর
সেই মামলার পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মামলার রায়ে হাইকোর্ট বনগাঁ আদালতের রায় খারিজ করে দেয়। আসামী স্বরূপ সেনকে দ্রুত জেলমুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি জানান, এই মামলায় পুলিশের তদন্তে ধোঁয়াশা রয়েছে। বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট নয়। তাছাড়া পচা মাংস রান্না করা হলে সেই খাবার খেয়েছেন এমন কোনও ক্রেতার জবানবন্দি নেই যেখানে তিনি বলছেন খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তাই এই মামলায় দ্রুত আসামী স্বরূপ সেনকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে অসমের গুয়াহাটিতে