কলকাতা: ভারতৃ-পাক সংঘাতের আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের কর্মীদের সমস্ত ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাম হামলার জবাব দিতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। তারপর বৃহস্পতিবার সন্ধের পর থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে পাকিস্তান। পাক সেনার একের পর এক পর এক হামলা প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। জল, স্থল ও আকাশপথে একযোগে ভারতীয় সেনার আক্রমণে ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। ভারতের আইএনএস বিক্রান্ত করাচি বন্দরে বড়সড় হামলা চালিয়েছে। ৮ থেকে ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামবাদেও বড়সড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হাই অ্যালার্ট বিমানবন্দরগুলিতেও। ২০টি বিমানবন্দরে নোটাম জারি করা হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতেও নিরাপত্তার বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিমানবন্দরে পরিষেবা স্বাভাবিক, বাড়ানো হল নিরাপত্তা
জানা গিয়েছে, আজ কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে ডিসি ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF) কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যারা ছুটিতে ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে ডিউটিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের নামিয়েই তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যেতে হবে গাড়িকে। প্রবেশ ও বেরনোর গেটের বাইরে বেশিক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না গাড়ি। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার ডিআইজি, সিআইএসএফ, এয়ারপোর্ট অথরিটি ও বিভিন্ন বিমান সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্য খবর দেখুন