নয়া দিল্লি: ভাঙড়ে ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে ‘গুন্ডামি’। পুলিশের উপর আমজনতার হামলা। রাতভর তল্লাশিতে গ্রেফতার ১৬। ওয়াকফ সংশোধনী আইন (WAQF bill) প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার ফের দাউ দাউ করে জ্বলল ভাঙড়। সকাল থেকেই উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছিল বাসন্তী হাইওয়েতে। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির ডাকে রামলীলা ময়দানে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যে ফুঁসে ওঠে জনতা। ব্যারিকেড টপকে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে এক আইএসএফ কর্মী রক্তাক্ত হন বলেই অভিযোগ। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আইএসএফ (ISF) শিবির।
বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে শোনপুরে। উত্তাল জনতা জাতীয় পতাকা হাতে প্রথমে এলাকায় থাকা সিসিটিভি ভাঙচুর চালায়। তারপরেই টার্গেট পুলিশের উপর। পাঁচ জন পুলিশকর্মী এই হামলায় জখম হন বলে খবর। প্রিজন ভ্যান উলটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পাঁচটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। গোটা এলাকা ধুয়োয় ঢেকে যায়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
আরও পড়ুন: গরম থেকে কবে মিলবে মুক্তি? জানুন আবহাওয়ার বিস্তারিত আপডেট
এই ঘটনার জেরে রাতভর চলেছে পুলিশের তল্লাশি। ১৬ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হিংসা ছড়ানোর মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছে প্রশাসন।
বুধবার সকালেও এলাকা থমথমে। পোড়া ভ্যান আর বাইকের ধ্বংসাবশেষে চাপা উদ্বেগ গ্রাস করেছে স্থানীয় মানুষজনকে। যদিও পুলিশের দাবি, বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং এলাকা শান্ত রয়েছে। নজরদারি চলছে প্রতি মুহূর্তে।
ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি, হিংসা ছড়ালে কাউকে রেয়াত করা হবে না, প্রশাসন তার যথোপযুক্ত জবাব দেবে।
দেখুন আরও খবর: