কলকাতা: হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনে (Heart Transplant) নজির গড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital Kolkata)। দীপের হৃদয় নিয়ে বাড়ি ফিরল তূনীর (Tunir Biswas)। এসএসকেএম হাসপাতালে হৃদপিন্ডের সকল প্রতিস্থাপনের পর বুধবার বাড়ি ফিরল তূনীর। শ্যামনগরের দীপ বেঁচে রইল অনেকের মধ্যে দিয়ে। এর আগে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রতিস্থাপনের নজির রয়েছে। এ নিয়ে চিকিৎসকদের দাবি, প্রতিস্থাপন হওয়ার অর্থ এই নয় যে ১০০ শতাংশ ঠিক হবে। তার জন্য রোগীকে বিশেষ নজরে রাখতে হবে। এবং কিছু নির্ধারিত নিয়মের মধ্যে দিয়ে রোগীকে চলতে হবে।
দীপাবলির সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছিল শ্যামনগরের ২১ বছর বয়সী দীপ কুমার রায়ের (Deep Kumar Roy)। তার বাবা-মা অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন। গত ১৪ নভেম্বর দীপের হৃদপিণ্ড, লিভার, দুটি কিডনি, ফুসফুস ও কর্নিয়া বিভিন্ন জনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে অ্যাপোলো থেকে হৃৎপিণ্ড (Heart Transplant) এনে সফল প্রতিস্থাপন করা হয় রাজপুরের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী তূনীর বিশ্বাসের শরীরে। অঙ্গদান ছাড়া তূনীরকে বাঁচানো সম্ভব হত না। সেই সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক প্রকাশ সানকি, চিকিৎসক সৌমি দাস অসাধ্য সাধন করেন।
আরও পড়ুন: বৈঠক নিয়ে কেউ জানায়নি, রাহুলকে অনুযোগ মমতার
এক বছর আগে ডায়াস্টলিক কার্ডিয়াক মায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তূনীরের মা। হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল কিন্তু করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। ছ’মাসের মধ্যে তূনীরেরও একই রোগ ধরা পড়ে। তবে তূনীরকে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। কারণ, দীপের বাবা মায়ের উদারতা ও এসএসকেএম এর কার্ডিও থোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক প্রকাশ সানকি ও তার টিমের সফল প্রচেষ্টা । সবমিলিয়ে এমন স্বপ্নাতীতভাবে জীবন ফিরে পাওয়ায় আবেগঘন তার আত্মীয়রা। তূনীরের আত্মীয় পারমিতা ঘোষ জানান, সম্পূর্ণ বিনা খরচে সরকারি হাসপাতালে এত বড় চিকিৎসা পরিষেবা এ রাজ্যেই সম্ভব। তাই দীপ কখনো নিভবে না, কারণ তূনীরের শরীরে লুব ডাব করে যাবে দীপের হৃৎপিণ্ড।
আরও অন্য খবর দেখুন