কলকাতা: কাঁকুলিয়ার কর্পোরেট কর্তা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বইয়ের একটি আবাসনের পার্কিং লট থেকে তাকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। এই ভিকি কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ফার্ণ রোডের একটি আবাসনে নিরাপত্তাক্ষীর কাজ করত। সেখানেই শুভঙ্করের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এর পরেই পুরো ঘটনার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে তারা। মিঠু হালদারও এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানত। বাড়ি কেনা নিয়ে ক্রেতা সেজে সুবীর চাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মিঠুর ছেলে ভিকি। ঘটনার দিন ভিকিকে চিনে ফেলে সুবীর। পুলিশের অনুমান, সেই কারণেই খুন হতে হয় সুবীরকে।
আরও পড়ুন: কাঁকুলিয়া জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি মুম্বই থেকে গ্রেফতার
১৭ তারিখ সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করা হয়। আর ১৮ তারিখ মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভিকি ও শুভঙ্কর। খুনের পর তারা দুজনে কোথায় ছিল, কারা তাদের আশ্রয় দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, টিটিকে ঘুষ দিয়ে তারা ট্রেনের টিকিট মুম্বই অবধি করে নেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ বা ২০ তারিখ মুম্বইয়ে পৌঁছয় তারা। খরচ চালানোর জন্য পারেল ইস্টের সেন্ট জেভিয়ার্স স্ট্রিটের কল্পতরু আভানা অ্যাপার্টমেন্টে ওয়াচম্যানের কাজ নেয় ভিকি। মুম্বইয়ের সূত্র মারফত ভিকি ও শুভঙ্করের সন্ধান পায় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। এর পরেই গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ দল মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১
৩০ তারিখ রাত ৯টা নাগাদ ৪৮ তলা ওই বহুতলে সাদা পোশাকে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখানেই লুকিয়ে ছিল ভিকি এবং শুভঙ্কর। সেখান থেকেই তাদের পাকড়াও করে পুলিশ। স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। ভিকি এবং শুভঙ্করকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসার অনুমতি দেয় কোর্ট। এর পরই তাদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন গোয়েন্দারা।
১৭ অক্টোবর গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ২০ অক্টোবর সুবীর বাবুর পরিচারিকা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় মিঠু গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেন বলে দাবি পুলিশের। মিঠু গ্রেফতার হওয়ায় পর কয়েক দিনের আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।