কলকাতা: রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিক করেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কড়েয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে এমনটাই দাবি পুলিশের। ফরেন্সিক দলের দাবি, বুধবার সারারাত ধরে গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে গোটা ঘর গ্যাসে ভরে যায়। কিন্তু পাইপলাইনের লিকেজটি অতি সূক্ষ হওয়ায় বিন্দুমাত্র গ্যাসের গন্ধ পাননি আক্রান্ত পরিবারের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার সকালে মোবাইল চার্জ দিতে গেলেই প্লাগ পয়েন্ট থেকে বিস্ফোরণটি ঘটে। যার জেরে গুরুতর আহত হন আনন্দ দাসের পরিবার। এই ঘটনাটিকে ফরেন্সিক দলটি ‘ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশন’ বলে দাবি করেছে। ফরেন্সিকের ভাষায়, নির্গত গ্যাস ভারী হয়ে যখন ওপরে উঠতে পারে না, তখন নির্গত স্থানটিতেই জমাট বাঁধতে থাকে। তারপর কোনওরকম বিদ্যুৎ সংযোগ হলেই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড ঘর
বুধবার রাতে আক্রান্তের পরিবারের ঘরের জানালা দরজা বন্ধই ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই ঘরের ভেতরেই গ্যাস জমাট বেঁধেছিল বলে দাবি ফরেন্সিক দলটির। ঘটনায় আহত আনন্দ দাস সহ তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত আনন্দ দাস তিনি কলকাতার জাপানি কনস্যুলেটে রাঁধুনির কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাতসকালে কড়েয়ার আহিরীপুকুর এলাকায় একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাঁচতলা বাড়িটি। ঘরের দরজা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত পরিবারটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
ঘটনাস্থলে পুলিশের তদন্তকারী দল
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কড়েয়া থানার পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরাও যান ঘটনাস্থলে। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াড ও ফরেন্সিক দলকে। ঘটনাস্থলটি পরীক্ষা করে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তারপর বিস্ফোরণের পেছনে গ্যাস লিকের কারণটিকেই সিলমোহর দিল তদন্তকারী দলটি।