কলকাতা: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Home Ministry) রিপোর্ট তলবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, কেন্দ্র প্রায়ই এরকম রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। রাজ্য সরকার সেইমতো রিপোর্ট দিয়ে দেয়। এটাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। ফিরহাদের দাবি, রাজ্য সরকার কোনও অন্যায় করে না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট তলব নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা নেই।
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি (ED) অফিসারদের উপর হামলার ছদিন পরেও মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্নের জবাব এদিন এড়িয়ে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনও ধারণা নেই। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর আক্রমণকে সমর্থন করে না। তারপরই তিনি গুজরাতে বিলকিস বানো মামলার প্রসঙ্গে চলে যান। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, রাজ্যপালকে তো এ রাজ্য নিয়ে কথা বলতেই হবে। কারণ উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত নিয়ে তিনি কথা বলার সাহস দেখাতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে আদানি গোষ্ঠী : গৌতম আদানি
এদিকে এদিনই সন্দেশখালির ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট তলব নিয়ে কুণালের মন্তব্য, একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি শুরু করেছে। গত কয়েক মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সন্দেশখালির ঘটনায় রোহিঙ্গা-যোগ সম্পর্কে কুণাল বলেন, সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে বিএসএফ। রোহিঙ্গারা রাজ্যে ঢুকল কি না, তা দেখার দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
কুণাল অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি পুরো বিজেপির কথায় চলছে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোথাও গেলে তারা জেলা পুলিশকে জানাবে না। তিনি বলেন, আমরা বলছি, কোনও ঘটনা ঘটলে জেলা পুলিশের কোনও দায় থাকবে না। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এরপর কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কোথাও গেলে জন বিস্ফোরণ ঘটবে। কুণালের দাবি, সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধেও প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। তাও তদন্তের আওতায় আসা উচিত।
আরও খবর দেখুন